ইসবগুলের ভুষি কি? - Natural BD Shop

Wednesday, October 7, 2020

ইসবগুলের ভুষি কি?


ইসবগুলের ভুষি কি?

মানবদেহের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি খাদ্য ইসবগুলের ভুষি। কোলন ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, পাইলস, কোষ্ঠকাঠিন্য, অ্যাসিডিটি ইত্যাদি প্রতিরোধে বেশ কার্যকর ইসবগুলের ভুষি। এছাড়া, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, হজমক্রিয়ার উন্নতি, হৃদযন্ত্রের সুস্থতা, ওজন নিয়ন্ত্রণসহ নানা উপকারিতা রয়েছে ইসবগুলের।ইসপগুল একটি একবর্ষজীবি উদ্ভিদ। লম্বায় ১২-১৮ ইঞ্চি হয়। বীজ বপনের ২ মাসের মধ্যে গাছে ফুল আসে ও ১১০-১৩০ দিনের মধ্যে ফসল তোলার উপযোগী হয়। ভারত, পাকিস্তান, ইরান, এ্যারাবিয়ান পেনিনসূলার দেশগুলিতে এর চাষ হয়।


ইসবগুলের উপকারিতা-


কোষ্ঠকাঠিন্য দূরীকরণে:

ইসবগুলে থাকে কিছু অদ্রবণীয় ও দ্রবণীয় খাদ্যআঁশের চমৎকার সংমিশ্রণ যা কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য খুব ভালো ঘরোয়া উপায় হিসেবে কাজ করে।এটি পাকস্থলীতে গিয়ে ফুলে ভেতরের সব বর্জ্য পদার্থ বাইরে বের করে দিতে সাহায্য করে। প্রাকৃতিকভাবে জলগ্রাহী হওয়ার কারনে পরিপাকতন্ত্র থেকে পানি গ্রহণ করে মলের ঘনত্বকে বাড়িয়ে দিয়ে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে ২ চামচ ইসবগুল এক গ্লাস কুসুম গরম দুধের সাথে মিশিয়ে প্রতিদিন ঘুমাতে যাবার আগে পান করে নিন।


ওজন কমায়:

ওজন কমানোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাঁধা হচ্ছে ক্ষুধার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা। ইসবগুল পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে। অন্ত্র পরিস্কারেও সাহায্য করে ইসবগুল। ওজন হ্রাসের সময় চর্বি পোড়ানোর প্রক্রিয়ায় শরীরে অনেক বর্জ্য পদার্থ উৎপন্ন হয়। হঠাৎ করে কাঁচা খাবারের পরিমাণ বৃদ্ধি করলে তা পাকস্থলীর জন্য বেশ ভারী হয়ে যায় তাই কোষ্ঠকাঠিন্য ও পেট ফাঁপার সমস্যা তৈরি করে। সুস্থতার জন্য এই বর্জ্য পদার্থগুলো শরীর থেকে বাহির হয়ে যাওয়া প্রয়োজন। ইসবগুল পাকস্থলী পরিষ্কার করতে সাহায্য করে বর্জ্য পদার্থ বের করে দেয়ার মাধ্যমে। প্রতিদিন সকালে অথবা খাওয়ার পূর্বে কুসুম গরম পানিতে ইসবগুল ও লেবুর রস মিশিয়ে পান করলে পেট ভরার অনুভূতি হয় এবং অন্য খাবার খাওয়ার ইচ্ছা কমায়।


পাইলস প্রতিরোধে

প্রাকৃতিক ভাবে দ্রবণীয় ও অদ্রবণীয় খাদ্যআঁশে ভরপুর ইসবগুল যারা পায়ুপথে ফাটল এবং পাইলসের মত বেদনাদায়ক সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য উত্তম। এটা শুধু পেট পরিষ্কার করতেই সাহায্য করেনা মলকে নরম করতে সাহায্য করে অন্ত্রের পানিকে শোষণ করার মাধ্যমে এবং ব্যাথামুক্ত অবস্থায় তা দেহ থেকে বের হতেও সাহায্য করে। এটি প্রদাহের ক্ষত সারাতেও সাহায্য করে। ২ চামচ ইসবগুল কুসুম গরম পানিতে মিশিয়ে ঘুমাতে যাবার আগে পান করুন।


ডায়রিয়া প্রতিরোধ করে:

যদিও শুনলে অবাক লাগে, ইসবগুল একই সাথে ডায়রিয়া ও কোষ্ঠকাঠিন্য দুটিই প্রতিরোধ করতে সক্ষম।দইয়ের সাথে ইসবগুল মিশিয়ে খেলে এটি ডায়রিয়া প্রতিরোধে বেশ কার্যকর ভূমিকা রাখে। কারণ দইয়ে থাকা প্রোবায়োটিক পাকস্থলীর ইনফেকশন সারায় এবং ইসবগুল তরল মলকে শক্ত করতে সাহায্য করে। এজন্য তিন চা চামচ দইয়ের সাথে দুই চা চামচ ইসবগুল মিশিয়ে খাবার পর খেতে হবে। এভাবে দিনে ২ বার খেলে বেশ কার্যকরী ফলাফল পাওয়া যায়।


অ্যাসিডিটি প্রতিরোধে

বেশির ভাগ মানুষেরই অ্যাসিডিটির সমস্যা থাকে আর ইসবগুল হতে পারে এই অবস্থার ঘরোয়া প্রতিকার।ইসগুল খেলে তা পাকস্থলীর ভেতরের দেয়ালে একটা প্রতিরক্ষা মূলক স্তর তৈরি করে যা অ্যাসিডিটির বার্ন থেকে পাকস্থলীকে রক্ষা করে। এছাড়া এটি হজমের জন্য এবং পাকস্থলীর বিভিন্ন এসিড নিঃসরণে সাহায্য করে।ইসবগুল অ্যাসিডিটিতে আক্রান্ত হওয়ার সময়টা কমিয়ে আনে। প্রতিবার খাবার পর ২ চামচ ইসবগুল আধা গ্লাস ঠাণ্ডা দুধে মিশিয়ে পান করুন। এটি পাকস্থলীতে অত্যাধিক এসিড উৎপাদন কমাতে সাহায্য করে অ্যাসিডিটির মাত্রা কমায়।


কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে :

 ইসবগুলের দ্রবণীয় ফাইবার রক্তের কোলেস্টেরল কমতে সাহায্য করে। এটি অন্ত্রে ফ্যাট ও অতিরিক্ত কোলেস্টেরলের সাথে জেল গঠন করে বর্জ্যের সাথে বের হয়ে যায়। অন্ত্রের দেয়াল যাতে ফ্যাট শোষণ করতে না পারে তাতে সাহায্য করে ইসুবগুল।এছাড়াও ডায়াবেটিস, পাইলস ও ফিশারের রোগীদের জন্য উপকারী ইসবগুল। এসিডিটির সমস্যা সমাধানে এবং হজমক্রিয়ার উন্নতিতেও সাহায্য করে ইসবগুল।


অ্যাসিডিটি প্রতিরোধে: 

বেশির ভাগ মানুষেরই অ্যাসিডিটির সমস্যা থাকে আর ইসবগুল হতে পারে এই অবস্থার ঘরোয়া প্রতিকার।ইসগুল খেলে তা পাকস্থলীর ভেতরের দেয়ালে একটা প্রতিরক্ষা মূলক স্তর তৈরি করে যা অ্যাসিডিটির বার্ন থেকে পাকস্থলীকে রক্ষা করে। এছাড়া এটি ঠিক হজমের জন্য এবং পাকস্থলীর বিভিন্ন এসিড নিঃসরণে সাহায্য করে।ইসবগুল অ্যাসিডিটিতে আক্রান্ত হওয়ার সময়টা কমিয়ে আনে। প্রতিবার খাবার পর ২ চামচ ইসবগুল আধা গ্লাস ঠাণ্ডা দুধে মিশিয়ে পান করুন। এটি পাকস্থলীতে অত্যাধিক এসিড উৎপাদন কমাতে সাহায্য করে অ্যাসিডিটির মাত্রা কমায়।


No comments:

Post a Comment